সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে মালবোঝাই ট্রাক খালে পরে গেলে আহত ট্রাক
চালককে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই ট্রাকের চালক আহত হয়েছে। এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন দুটি কোম্পানির ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে থাকে। উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে বৈদ্যেরবাজার ঘাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় থাকা ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের সাহাপুর এলাকায় এ ব্রীজের অবস্থান।
স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁ উপজেলার একাংশের, মেঘনা উপজেলা একাংশের ও আড়াইহাজার উপজেলার একাংশের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আল মোস্তফা, মার্সফিড লিমিটেড ও এম এস ট্রেডিং কোম্পানী, বৈদ্যেরবাজার মাছঘাট সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশত ভারি যানবাহনের মাধ্যমে মালামাল আনা নেওয়া করা হয়। স্থানীয়রা বাধা দিলেও এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে মালবাহী ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়নি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালবাহী যান চলাচলের কারণে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।দীর্ঘদিন
ধরে সেতুর দু’পাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। ব্রীজের নীচে ও পিলারের প্লাস্টার উঠে গিয়ে
রড বেড়িয়ে পড়েছে। ব্রীজের এক পাশ ভাঙ্গা ও অন্য পাশে দুইটি ষ্টিলের পাটাতনের উপর দিয়ে
ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। সম্প্রতি সড়ক ও জনপদ বিভাগ সওজ
ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। পাশাপাশি ভারি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
জারি করে। তবুও এ ব্রীজ দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধ হয়নি।
স্থানীয়রা
জানান, ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের সাহাপুর এলাকায় এ ব্রীজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রীজটি খালের উপর হলেও এ ব্রীজ দিয়ে তিনটি কোম্পানির ভারি যানবাহনসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচল করে। দ্রুত এ ব্রীজটি নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
গত
কয়েকদিন আগে মালবাহী ট্রাক এ ব্রীজ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বাধা প্রদান করেন। মালবাহী
ট্রাক ছোট পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে কিছু মালামাল কোম্পানীতে নিয়ে যায়। তারপর ঢাকা মোট্টো-ট
১৬-০৭৯৭ ট্রাকটি ব্রীজ দিয়ে যাওয়ার সময় সামনের একটি চাকা ব্রীজের উত্তর পাশ ডেবে যায়
ও বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ব্রীজে বিশাল আকৃতির একটি ফাটল দেখা দেয়। পরে ব্রীজের
পাশ্ববর্তী একটি কোম্পানী ব্যক্তিগতভাবে দুইটি লোহার পাটাতন ও কাঠ দিয়ে মেরামত করে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বলেন,
ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। ভারি যান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা
দেওয়া হয়েছে। ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে ট্রাক খালে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এ ব্রীজ নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করে নকশা তৈরি
করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাজেট হলেই চলতি অর্থ বছরে এ ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু
হবে।