বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য শফুরউদ্দিন (৫৫) ও তার কিলার বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে নিহত রকি’র (২০) পরিবার।
নিহত রকির মা আছমা বেগম জানান, গত ২২মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমার ছেলে রকিকে শফুরউদ্দিন ও তার কিলার বাহিনী নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৩মার্চ নিহত রকির মা আছমা বেগম বাদি হয়ে শফুরউদ্দিনসহ তার সহযোগী ৬জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, রকি হত্যাকান্ডের ঘটনার পর পরই উত্তেজিত এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনি শফুরউদ্দিনের দুই সহযোগী শহিদুল ইসলাম (২৯) ও সাইফুল (১৭) নামে দুই জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বন্দরের রকির মা আছমা বেগম আরো জানান, আমার ছেলে রকিকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে শফুরউদ্দিনের নির্দেশে শহিদুল, সাইফুল, লাদেন, জিয়া ও নয়ন হত্যা করে। মামলা দেয়ার পর ভূমিদস্যূ শফুরউদ্দিন ও তার সন্ত্রাস বাহিনী পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকাতেই আত্মগোপনে থেকে আমার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে। শফুরউদ্দিন পেশায় একজন জেলে। অস্ত্রের মুখে স্থানীয় গরীব অসহায় মানুষের জমি দখল করে রাতারাতি টাকার কুমির বনে যায়। টাকার গরমে অত্যাচার ও জুলুমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় তার বিরুদ্ধে মানুষ কথা বলতে ভয় পায়।
তিনি আরো জানান, শফুরউদ্দিন সহ অন্যান্য আসামীরা সঙ্গবদ্ধ চক্র। একাধিক মামলা থাকলে ও পুলিশ তাকে না ধরায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব, পুলিশের আইজি মহোদয়ের কাছে তাকে দ্রæত গ্রেফতারের দাবি করেন।
এ হত্যা মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে ধামগড় ইউপি সদস্য শফুরউদ্দিন বলেন, আমি রিকশা চালিয়ে, মাছ ধরে ও মাটি কেটে বড় হয়েছি। বর্তমানে আমি জমি কেনাবেচা ও দেখবাল করি। আমি এসবের কোনটার সাথেই জড়িত না।