সোনারগাঁওয়ে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০ - News Of Sonargaon

শিরোনাম

Wednesday, April 13, 2022

সোনারগাঁওয়ে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

 

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে সাবেক জহিরুল হক ও বর্তমান চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ঘরবাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।



বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বারদি ইউনিয়ন পরিষদের বারদি বাজার এলাকায় দুই দলের সঙ্গে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে দুই দলের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক।

 

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক ও বর্তমান চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারদী বাজারে জহিরুল হকের ভাই তাজুল ইসলামকে মারধর করে লায়ন বাবুলের সমর্থকরা। পরে জহিরুল হকের লোকজন একত্রিত হয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ ও দোকানপাট, বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হকের পক্ষের ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন, তাজুল ইসলাম, হযরত আলী, নাজিম মিয়া, বরকত উল্লাহ, আলী মোহাম্মদ, আমজাদ হোসেন, মজিবুল্লাহ, সোহেল সরকার, কবির এবং বর্তমান চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলের পক্ষের মাসুম সরকার, বাসেদ সরকার, মামুন সরকার, হুমায়ুন সরকার সহ দুপক্ষের ২০ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে হযরত আলী ও আলী মোহাম্মদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

বর্তমান চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলের সমর্থক ইব্রাহিম খলিল ইবু জানান, নির্বাচনের পর থেকে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক ও তার সমর্থক ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেনের লোকজন প্রভাব দেখিয়ে আসছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি নিয়ে তারা আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

 

অপরদিকে জহিরুল হকের সমর্থক ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন, ইবু ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে আমাকেসহ আমার লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে তাদের নিজেদের বাড়িতে নিজেরাই অগ্নিসংযোগ ও বাড়িঘর ভাংচুর করে আমাদের লোকজনের উপর দায় চাপাচ্ছেন।

 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।