‘বীমায় পরিবর্তন চাইলে আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে’ - News Of Sonargaon

শিরোনাম

Monday, April 18, 2022

‘বীমায় পরিবর্তন চাইলে আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে’

‘বীমায় পরিবর্তন চাইলে আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে’

অনলাইন ডেস্ক, নিউজ অফ সোনারগাঁও

চতুর্থ প্রজন্মের জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। দেশের জীবন বীমা খাতে যখন একের পর এক গ্রাহক দাবি পরিশোধে হয়রানিসহ নানা অস্থিরতা অভিযোগ উঠছে, তখন সাবলিলভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এখন পর্যন্ত নেই কোনো অভিযোগ। কিন্তু পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ তোলা হয়। 

 

অথচ দাবি পরিশোধ বা সেবার মান নিয়ে গত আট বছরে কোনো গ্রাহকের অভিযোগ নেই। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর সেন্ট্রাল সফটওয়্যার ব্যবহার ও দক্ষ ব্যবস্থাপনাকে এগিয়ে রাখছেন বীমা খাত সংশ্লিষ্টরা। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ও কর্মপদ্ধতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, স্বয়ং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা থেকে চিঠির মাধ্যমে সব বীমা কোম্পানিকে তা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। অভিজ্ঞতা ও প্রতিষ্ঠার বয়সে কয়েক দশকের বীমা কোম্পানিগুলো যেখানে সাধারণ মানুষের আস্থা হারাচ্ছে, সেখানে তারুণ্যনির্ভর এই প্রতিষ্ঠানটি যেন চুটিয়ে ব্যবসা করে একের পর এক সফলতার উচ্চ শিখরে আরোহণ করছে।  বিগত বছরে প্রতিষ্ঠানটি মোট প্রিমিয়াম আহরণ করেছে প্রায় ৩২০ কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ১৯৯ কোটি টাকা এবং গোষ্ঠী বীমা তিন কোটি টাকা। 

 

এছাড়া নবায়ন প্রিমিয়াম এসেছে ১১৮ কোটি টাকা, যার আদায় হার ৮৯ শতাংশ। জীবন বীমায় একক ব্যক্তি পর্যায়ের ব্যবসায় মাত্র কয়েক বছরে বার্ষিক তিনশ কোটি টাকা প্রিমিয়াম, হাতেগোনা দুই তিনটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউই আহরণ করতে পারেনি। চতুর্থ প্রজন্মের আরেক বীমা কোম্পানি তিনশ কোটি টাকার বেশি প্রিমিয়াম আয় করলে ব্যক্তি পর্যায়ের পলিসি তাদের খুবই কম। এক্ষেত্রে তাদের গোষ্ঠীবীমা পলিসি বেশির ভাগ অবদান রেখেছে। সোনালী লাইফের এই সফলতার মূলমন্ত্র সম্পর্কে দৈনিক আমার সংবাদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা-সিইও মীর রাশেদ বিন আমানের কাছে। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও বীমা খাতের উন্নয়নে যে অন্তরায়গুলো রয়েছে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়েও আলোচনা হয়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমার সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম।

 

আপনাদের ব্যবসায়িক পরিসংখ্যান একটু জানতে চাই


রাশেদ আমান : আমাদের ২০২০ সালে ব্যবস্থাপনা ব্যয় ছিল ৪৮ শতাংশ। আর ২০২১ সালে অনিরীক্ষিত হিসেবে সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনা ব্যয় ৪৪ শতাংশ। পুরো বীমা খাতে আমাদের সবচেয়ে কম। অ্যালাওয়েবল ম্যানেজমেন্ট এক্সপেন্স থেকে ৩২ শতাংশ কম ছিল। আরেকটি বিষয় একটি বীমা কোম্পানি টিকে থাকতে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো রিনুয়্যাল পলিসি। ২০২১ সালে আমাদের এই খাতে এসেছে ১১৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা ৯১.১৪ শতাংশ। কিন্তু বীমা খাতে নবায়ন প্রিমিয়ামের গড় ৪০-৪৫ শতাংশ। ২০২০ সালে আমাদের পলিসি বিক্রি হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। কিন্তু রিনুয়্যাল এসেছে ৫৬ কোটি টাকা। এ সময় গ্রোস প্রিমিয়াম হয়েছে ১৩৫ কোটি টাকা। ২১ সালে গ্রোস প্রিমিয়াম এসেছে প্রায় ৩২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথমবর্ষ ২০২ কোটি টাকা এবং নবায়নকৃত ১১৮ কোটি টাকা প্রায়। নবায়ন প্রিমিয়ামের এই হার পুরো বীমা খাতে আমদেরই বেশি। এখন পর্যন্ত আমাদের দ্বিতীয়বর্ষ নবায়ন প্রিমিয়ামের হার ৮৬.২ শতাংশ। আশা করছি ভবিষ্যতে শতভাগ না হলেও অন্তত ৯৯ শতাংশ রিনুয়্যাল সংগ্রহে আমরা সক্ষম হবো।

 

বীমা খাতের নেগেটিভ ইমেজ কেন, এটা দূর করতে কী করা প্রয়োজন?


রাশেদ আমান : এ বিষয়ে প্রথমে যেটা বলব, ইন্স্যুরেন্সে কেউ আসতে চায় না। সবাই ব্যাংক বা মার্কেটিংয়ে অন্য কোম্পানিতে যায়। যতটুকু আসে, সেটা হয়তো কারো সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে। ইন্স্যুরেন্স হয়রানি হয়, টাকা পাওয়া যায় না, সচেতনতা নেই, পেনিট্রেশন নেই এসব আলোচনা হচ্ছে। আগে এ নিয়ে যেসব দেশীয় বীমা কোম্পানি কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। ফলে গ্রাহকরা এখন সব বীমা প্রতিষ্ঠানকেই প্রতারক মনে করছে। অ্যাকশনও নেয়া হচ্ছে, কিন্তু দায়িত্ববোধ নিয়ে শেষ পর্যন্ত কেউই ড্রাইভ দিয়ে কাজটি করছে না। এখানেই সোনালী লাইফের চিন্তাধারার সাথে অন্যদের পার্থক্য। বীমার ক্ষেত্রে সবই দায়।২০১৩ সালের ১ আগস্ট আমাদের কার্যক্রম শুরুর আগে থেকেই কোম্পানি পরিচালকদের একটি ভিশন ছিল। কিভাবে জীবন বীমা কোম্পানিকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করা যায়। আমাদের অভিভাবক মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অভিপ্রায় ছিল এমন একটি জীবন বীমা কোম্পানি গড়ে তোলার, যেটা হবে সেবাধর্মী, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক। এগুলো বিশ্লেষণ করে আমরা যেটা বুঝেছি, সেটা হলো আগে নিজেদের (পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ) ঠিক হতে হবে। আমাদের কাছে যেহেতু বোর্ডের ভিশন-মিশন আগেই স্পষ্ট ছিল তাই শুধু প্রয়োগ নিয়ে ভাবনার বিষয় ছিল। আমরা দেখলাম যে, একমাত্র আইটির মাধ্যমে এটা সম্ভব। কারণ মানুষ ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় পারে না। তাই আইটিকে কোর হিসেবে ধরে আমরা কাজ করতে করতে আমাদের সফটওয়্যারকে এমন পর্যায়ে নিয়েছি যে দেশের মধ্যে আমরাই প্রথম ইআরপি বেজড সফটওয়্যারের মাধ্যমে পুরো কোম্পানিকে পরিচালনা করছি। আমরা যদি বীমার পরিবেশ ঠিক করতে পারি, তবে মানুষ আমাদের প্রতি আগ্রহ দেখাবে। অবশ্য শুধু পরিবেশই যথেষ্ট নয়। যদি কেউ উপলব্ধি করে এই প্রতিষ্ঠানে এসে ভালো থাকা যায়, ভালো লাইফ লিড করা যায়, তাহলেই অন্যরাও আগ্রহ দেখাবে এখানে আসতে। আসলে সচেতনা তৈরি হয় মানুষের কথা ও শোনার মাধ্যমে, যতই বিজ্ঞাপন বা অন্য কিছু করা হোক না কেন। আর পরিবেশটা হতে হবে স্থায়ী ও টেকসই। 

 

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের বীমা খাত কোন কোন দিকে পিছিয়ে রয়েছে? সোনালী লাইফে এগুলো দূর করতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে?


রাশেদ আমান : এখন পর্যন্ত সোনালী লাইফে আমার আট-নয় বছরের অভিজ্ঞতায় পুরো খাত নিয়ে আসলে মন্তব্য করা সহজ নয়। তবে আমি ২০০৫ সাল থেকে বীমার সাথে জড়িত। বীমায় সম্পৃক্ত থেকেই ২০০৫-০৬ সালে দেশের বাইরে গেছি পড়াশেনার জন্য। উন্নত দেশের তুলনায় আমরা যেটাতে পিছিয়ে আছি তা হলো দক্ষ মানবসম্পদ। পাশ্চাত্যের সাথে যদি আমাদের বীমার তুলনা করি, তবে দেখব দক্ষ মানবসম্পদের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তা ছাড়া এখানে নতুন লোক আসছে না, নতুন লোক তৈরি হচ্ছে না। একটি সেক্টরের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে সেখানে কি পরিমাণ নতুন লোক জেনারেট (তৈরি) হচ্ছে তার ওপর। পড়াশোনা করে আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার হতে চাই। কিন্তু কেউ ইন্স্যুরার হতে চায় না। এখন যেটা হচ্ছে তা হলো, কেউ হয়তো অন্য কোথাও সুযোগ না পেয়ে বাধ্য হয়ে আসছে। পাশ্চাত্যের মতো আমাদের এখানে ইন্স্যুরেন্সকে কেউ ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন হিসেবে রেসপেক্ট করে না। তৃতীয়ত, এখানে ইনকাম কম বলে কেউ আসতে চায় না। আবার আসলেও প্রিমিয়াম হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পরিবর্তে এ কর্মকর্তারা দায়িত্বকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম মনে করেন। চতুর্থত, যে বিষয়টি তা হলো গ্রাহকের নেতিবাচক ধারণা। আগে উল্লেখ করা বিষয়গুলোর কারণে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার টাকা ফেরত পাওয়ার সময় হলে গ্রাহককে হয়রানি শিকার হতে হয়। বারবার হেড অফিসে আসা-যাওয়া, সময় ক্ষেপণ করে দাবি পরিশোধ করা। তা ছাড়া এখানে ডাবল স্ট্যান্ডবাজিও হচ্ছে। কোন পলিসি গ্রাহক বিলম্বে প্রিমিয়াম দিলে তাকে এক শতাংশ বিলম্ব ফি দিতে হচ্ছে। কিন্তু কোম্পানি যখন সঠিক সময়ের মধ্যে তার দাবির টাকা ফেরত দিতে পারে না, তখন কিন্তু গ্রাহককে এই দেরির জন্য বাড়তি টাকা দিচ্ছে না, বোনাস বাড়িয়ে দিচ্ছে না। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সোনালী আংশিক মেয়াদ বা পূর্ণ মেয়াদের সকল দাবি সঠিক সময়ে পরিশোধ করেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার পর সর্বোচ্চ সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমরা দাবি পরিশোধ করে থাকি। গ্রাহকের কোনো দাবি এখন পর্যন্ত বকেয়া নেই। এটা আমাদের গর্ব করার একটি বিষয়। 


আমরা যতদূর জেনেছি আইডিআরএ থেকে অন্য কোম্পানিগুলোকে আপনাদের সফটওয়্যার সিস্টেমকে ফলো করার জন্য চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে একটু জানতে চাই।


রাশেদ আমান : আসলে এই ইআরপি সফটওয়্যার আমাদেরই নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের তৈরি। ইন্স্যুরেন্স নিয়ে কাজ করা বিশ্বে ২৫টি সফটওয়্যার কোম্পানির মধ্যে ড্রাগন আইটি (ডিআইটিসিএল) চার নম্বরে আছে। এর বিশেষত্ব হলোগ্রাহক নিজেই সব কিছু চেক করতে পারছে। বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউএমপির মাধ্যমে যে ই-রিসিট দেয়ার কথা বলছে, ২০১৪ সালেই আমরা সেটা শুরু করেছি। এ ছাড়া ই-কেওয়াইসি, বীমা অ্যাপ সর্বোপরি বীমা খাতে অনলাইন কার্যক্রম আমরাই প্রথম শুরু করেছি। আমাদের এখানে ব্যাংকিং চ্যানেলে বা মোবাইল ফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়। তা ছাড়া গ্রাহক কবে, কত টাকা বোনাস পাবে সেটাও উন্মুক্ত। গ্রাহক নিজেই তা দেখতে পারে। তার কিছু হলে তার পরিবার সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে বোনাসসহ বীমার টাকা পাবে। ফলে সোনালীর সাড়ে আট বছরে ১৭ হাজার গ্রাহকের দাবির টাকা পরিশোধে সাত দিনের বেশি সময় নেয়া হয়নি। এমনকি কোন সালে কত টাকা আমাদের দায় এবং সে সব বছরগুলোতে আমাদের রিটার্ন কত, এসব পরিকল্পনাও রয়েছে আমাদের। বর্তমানে আমাদের যে পলিসি দায় ও বিনিয়োগ রয়েছে এগুলো যদি হিসাব করি, আরো ৫০ বছর পরে আমাদের দায় দাঁড়াবে এক হাজার ২৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা, কিন্তু এই সময়ে আমাদের রিটার্ন থাকবে এক হাজার ৭৩৭ কোটি ৪৭ লাখ। অর্থাৎ বর্তমানেই আমরা সাতশ সাত কোটি ৮৫ লাখ টাকা উদ্বৃত্তে আছি। এগুলো সবই আমাদের সফটওয়্যারে মুহূর্তেই ক্যালকুলেশন করা যাচ্ছে। আমাদের পুরো প্রতিষ্ঠান চলেছে ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে।২০১৭ সালে আইডিআরএ প্রথম আমাদের এই সফটওয়্যারটি যাচাই-বাছাই শুরু করেছে। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সদস্য ও কর্মকর্তারা এটির কার্যক্রম দেখেছেন। এর প্রায় এক মাস পর আইডিআরএ থেকে সব কোম্পানিকে চিঠি দিয়ে আমাদের সিস্টেমকে অনুসরণ করার কথা বলেছে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। আমাদের মতো অনেকেই এখন বীমা অ্যাপ চালু করেছে। দেশের সেরা বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও আমাদের এখানে লোকজন এসে কাজ করছে। আমি এমন সব কোম্পানির কথা বলতে চাচ্ছি সাধারণত যেখান থেকে কেউ আসতে চায় না। আবার যারা এসেছে তারা সেখানে ১০ বছর থেকে ২০ বছর ধরে কাজ করেছে এমন। ক্যারিয়ারের এতটা সময় এক জায়গায় দিয়ে এখানে আসছে। তাহলে কি তারা বোকামি করছে? মূলত এখানে তারা আগের চেয়েও ভালো কাজের পরিবেশ পাচ্ছে। 


আইপিওতে আসার আগে আপনাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছিল, এ বিষয়ে একটু জানতে চাই
রাশেদ আমান : আমরা ২০১৮ সালে আইপিও আবেদন করি, যেটা অনুমোদন হয় ৯ ডিসেম্বর ২০২০ এবং ৩০ জুন ২০২১ কার্যক্রম শুরু হয়। এক দশক আগের আইপিও অনুমোদন আর এখনকার অনুমোদনের মধ্যে অনেক ব্যবধান। অনুমোদন পাওয়ার আগে সিএসই, ডিএসই এবং বিএসইসি থেকে ব্যাপক তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়।আইডিআরএ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সবার সাথে যোগাযোগ করে অনুমোদন দেয়া হয়। আমরা সবকিছু পরিপালন করেই অনুমোদন পেয়েছি। স্বতন্ত্র পরিচালক বা অন্য যে বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল, সবই নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর থেকে দেখা হয়েছে। তাদের অনুমোদন পেয়েই আইপিওতে এসেছি। অনিয়ম থাকলে তো অনুমোদন পেতাম না।