সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে স্বামী ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে এলাকার মানুষের ভয়ে ঈদগাহ মাঠে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে সোনারগাঁওয়ের কাবিলগঞ্জ এলাকায় দুই সন্তানের জননী বিনা আক্তার (২৫) পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘরের ধন্নার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় বিনার বড় ভাই মো. আলমগীর বিনার স্বামী কাবিলগঞ্জের মৃত হাশেমের ছেলে মোঃ শহীদুল্লাহ শহীদ (৪২), শহীদের মা মোসাঃ শাহিদা বেগম (৬০), ছোট ভাই মোঃ মামুন (৩০), বড় ভাই মোঃ তৌহিদ (৪৮), মোঃ শাহিন (৩৫) ও মোঃ ফারুকের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িত দাবি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে আলমগীর আরো জানান, দীর্ঘ সংসার জীবনের প্রায় সময়ই ঝগড়া লাগলে শহিদুল্লাহর পরিবার আমার বোনকে গলায় রশি দিয়ে মরে যেতে বলতো। সর্বশেষ ৬ মে শুক্রবার বিকেল ৪ টায় শহিদুল্লাহ ও তার পরিবারের অপমান ও অত্যাচার সইতে না পেরে বিনা গলায় ফাঁস দেয়। পরে লাশ নিয়ে শহিদুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে এলাকাবাসির ভয়ে লাশ দ্রুত এম্বুলেন্সে করে কাবিলগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে রেখে পালিয়ে যান তারা।
খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার এসআই (নিঃ) বিজন কুমার কাবিলগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং লাশের ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।