সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁয় ছিনতাইয়ের পর এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার
(২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পৌরসভার দৈলেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়
ভূক্তভোগী বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে গতকাল বুধবার রাতে সোনারগাঁ থানায় মামলা
করেছেন। পরে পুলিশ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. সজিবকে
গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলা
সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি এলাকার ৪০ বছর
বয়সী এই নারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। গত মঙ্গলবার
সন্ধ্যায় তার দেবর কামাল হোসেনকে নিয়ে মদনপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন বোনকে দেখতে যান। পরে তার দেবর ও ওই নারী রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায়
কৃষ্ণপুরা এলাকায় তার খালাতো ভাই ইমনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে
রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিলারবাগ এলাকায় গ্রেপ্তার আসামি সজিবের নেতৃত্বে মো. হাসান, মো. আকাশ, মো. অয়ন, ফরিদ ওরফে বোম
ফরিদ, সাকিব, সোহান ওরফে জঙ্গী সোহান ও সজিব ওরফে ব্লেড সজিব তাদের
বহনকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তাদের দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে দৈলেরবাগ
এলাকার লাল মিয়ার পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে নগদ
১৬ হাজার টাকা ও নারীর স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা অন্য একটি কক্ষে
আটকে রেখে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এদিকে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রবাসীর গাড়িতে ছিনতাইয়ের সময় সজিবকে আটক করে পুলিশ। পরে
সজিবের গ্রেপ্তারের খবরে ওই নারী থানায় এসে তাকে চিনে ফেলে।
সোনারগাঁ
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, গণধর্ষণের
ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগী
ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।